ভারতের প্রধান ভূ- প্রাকৃতিক বিভাগ


1. হিমালয় পার্বত্য অঞ্চল:
ভারতের উত্তর অবস্থিত হিমালয় পর্বত পৃথিবীর উচ্চতম নবীন ভঙ্গিল পর্বত গুলির মধ্যে একটি। টেথিস সাগরের উপর আন্ত-মহাদেশীয় পার্শ্বচাপের ফলে আজকের হিমালয় পর্বতের সৃষ্টি তবে হিমালয়ের গঠনকার্যে এখনো চলছে। উত্তরে হিমালয় পর্বতের অবস্থান এর জন্য সাইবেরিয়া শীতল বায়ু ভারতীয় উপমহাদেশের প্রবেশ করতে পারেনা। হিমালয় পর্বতমালা তিনটি সমান্তরাল পর্বতশ্রেণীর সমন্বয়ে সৃষ্টি হয়েছে।

এগুলি হল_

1.  হিমাদ্রি হিমালয়:

হিমালয় পর্বতশ্রীর সর্বোত্তরে হিমাদ্রি হিমালয় অবস্থিত এখানে পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট (8848 মিটার) অবস্থিত। এটি নেপালের সাগরমাথা ও চীনে চোমোলাংমা নামে পরিচিত। এখানকার অপর একটি উল্লেখযোগ্য পর্বত শ্রেণী হলো কাঞ্চনজঙ্ঘা। এটি ভারতের দ্বিতীয় উচ্চতম পর্বত শৃঙ্গ ( 8586 মিটার) এবং হিমালয় অবস্থিত ভারতের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ।

2.  হিমাচল হিমালয়:

শিবালিক ও হিমাদ্রি হিমালয়ের মধ্যবর্তী অঞ্চলটি হিমাচল হিমালয় নামে পরিচিত। এখানকার পর্বতশ্রেণী গুলি হল- পীরপাঞ্জল, ধৌলাধর, মুসৌরী, নাগটিব্বা,। পীরপঞ্জল এখানকার বৃহত্তম পর্বত শ্রেণী। বানিহাল হলো এখানকার একটি উল্লেখযোগ্য গিরিপথ।

3.  শিবালিক হিমালয়:

হিমালয়ের দক্ষিণে কম উচ্চতাযুক্ত পর্বতশ্রেণীকে শিবালিক বলা হয়। এগুলি হল_ জম্মুপাহাড়, মিশমি পাহাড়, অরুণাচল ও উত্তরাখণ্ডের ধ্যান রেঞ্জ প্রভৃতি। শিবালিকের দক্ষিণদিকের ঢাল খাড়া কিন্তু উত্তরদিকের  ঢাল ঢালু, যা বিভিন্ন অনুদৈর্ঘ্যের উপত্যকা সৃষ্টি করেছে। এই অনুদৈর্ঘ্য উপত্যকার নাম ” দুন”।

2. উত্তরের সমভূমি অঞ্চল:

সিন্ধু, গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র ও তাদের উপনদীগুলির পলি সঞ্চয়ের ফলে উত্তরভারতের সমভূমি গঠিত হয়েছে। উত্তরের বিশাল সমভূমি দক্ষিন-পশ্চিমের থর মরুভূমির পর্যন্ত এই অঞ্চলটির বিস্তার। এটি গঠিত হয়েছে_

1. ভাঙ্গর:

প্রাচীন পলি সঞ্চয়ের ফলে ভাঙ্গর গঠিত হয়। প্রধানত এটি গঠিত হয় কাদার দ্বারা। পাঞ্জাবে এই সমভূমি ধয়া নামে পরিচিত।

2. খাদার:

উচ্চগঙ্গা সমভূমির নবীন পলিমাটির দ্বারা গঠিত তুলনামূলক নিম্নভূমিকে খাদার বলা হয় ।এখানে প্রায় প্রতিবছর বন্যার সময় নতুন পলির সঞ্চয় ঘটে। পাঞ্জাবে এই ‘বেট’ নামে পরিচিত।

3. ভাবার:

হিমালয়ের পাদদেশীয় অঞ্চলে ( শিবালিক) নদী বাহিত বালি, নুড়ি, পাথর প্রভৃতি সঞ্চিত হয়ে যে ঈশৎ ঢেউ খেলানো ভূমিরূপ সৃষ্টি হয় তাকে ভাবার বলে। এই অঞ্চলটি কৃষিকাজের পক্ষে অনুর্বর।

4. তারাই:

ভাবার অঞ্চলের দক্ষিণে ‘ স্যাঁতস্যাঁতে’ নদীর সৃষ্টি জলাভূমিকে তরাই বলা হয়। ভাগের তুলনায় পশ্চিমভাগে অধিক বৃষ্টিপাত হয়। এটি কৃষিকাযের পক্ষে উপযোগী। তরাই কথার অর্থ হল ” স্যাঁতস্যাঁতে” ভূমি।

বৃহৎ সমভূমি অঞ্চল:( The great plains):

• পশ্চিম থেকে পূর্বে 2400 কিমি দীর্ঘ এবং 150-300 কিমি প্রশস্ত।

• উত্তরের সমভূমিতে, ধোরো এবং ধান্ডগুলি হলো গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। ধোরো হল পূর্ববর্তী নদীগুলির দ্বারা গঠিত নিম্নচাপ এবং ধান্ডগুলি হল ক্ষারীয় হ্রদ।

• উত্তরের সমভূমির বেশিরভাগ অংশ পলি গঠিত এবং এর পশ্চিমাংশ হলেও মরুভূমি।

• পাঞ্জাব হরিয়ানা অঞ্চলে পাঁচটি নদী প্রবাহিত হয়েছে। দুটি নদীর মধ্যবর্তী অংশকে বলে দেয়াব। দক্ষিণ থেকে উত্তরে দোয়া গুলি নিম্নে দেওয়া হল।

দোয়াব 

[table id=67 /]

 

• লুনী অববাহিকা অঞ্চলে উত্তরের সম্বল (বৃহত্তম) দিদওয়ানা ও কুচমানা প্রভৃতির  অবস্থিত হ্রদ।

3. উপদ্বীপীয় মালভূমি:

এই মালভূমিটি উপদ্বীপের সমগ্র অংশ বারবার হয় ত্রিভুজাকারের বিস্তৃ্ত।  এর উচ্চতা হল 900 মিটার।• এটি প্রাচীন আগ্নেয়শীলা ও রূপান্তরিত শীলা দ্বারা গঠিত।
• দক্ষিণাত্য মালভূমি ভারতের বৃহত্তম মালভূমি অঞ্চল দুটি দুভাগে বিভক্ত।

a) কেন্দ্রীয় উচ্চভূমি :

1. নর্মদার নদীর উত্তরে অবস্থিত একটি মালাব মালভূমির অংশ।

2. এটি ” মধ্য ভারত পাঠার” নামেও পরিচিত।

3. কেন্দ্রীয় উচ্চভূমির উত্তর-পশ্চিম দিকে রয়েছে আরাবল্লী পর্বতশ্রেণী এবং দক্ষিণের বিন্ধ্য পর্বত। এটি একটি 800 কিলোমিটার দীর্ঘ পর্বতশ্রেণী। এটি উদয়পুরের কাছে জারগা এবং দিল্লির কাছে দিল্লির রিজ নামে পরিচিত ।এটি সর্বোচ্চ শৃঙ্গ হলো গুরু শিখর (১৭০০ মিটার)

b) দক্ষিণাত্য মালভূমি:

1. নর্মদা নদীর দক্ষিনে অবস্থান করছে দক্ষিণাত্য মালভূমি।

2. দক্ষিণাত্য মালভূমির পূর্বভাগ এবং পশ্চিমভাগ যথাক্রমে পূর্বঘাট ও পশ্চিমঘাট পর্বতমালা অবস্থিত।

3. মহারাষ্ট্র মালভূমি, কর্ণাটক মালভূমি, তেলেঙ্গানা মালভূমি ও রয়ালসীমা মালভূমি(অন্ধপ্রদেশ) এর অন্তর্গত।

উপদ্বীপীয় মালভূমি:

এটি সমগ্র উপদ্বীপীয় অঞ্চলের বিস্তৃত। এর আকৃতি অনিয়মিত ত্রিভুজাকার এর গড় উচ্চতা ৬০০- ৯০০ মিটার। উপদ্বীপীয় মালভূমির শ্রেণীবিভাগ গুলি হল_

1. মালব মালভূমি:

এই মালভূমির অবস্থান করছে আরাবল্লী পর্বত উত্তর -পশ্চিমে বিন্ধ্য পর্বতের দক্ষিণে এবং বুন্দেলখন্ড মালভূমির পূর্ব দিকে। এই মালভূমির মধ্য দিয়ে নর্মদা, তাপ্তি এবং মাহী নদীর পশ্চিম দিকে প্রবাহিত হয়ে আরব সাগরে এবং চম্বল, বেতয়ার যমুনার সঙ্গে মিলিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে।

2. বুন্দেলখন্ড মালভূমি:

বুন্দেলখন্ড মালভূমিকে ঘিরে উত্তর রয়েছে যমুনা নদী, দক্ষিণে বিন্ধ্য পর্বত এবং উত্তর-পশ্চিমে রয়েছে চম্মলনদী। এটি গ্রানাইট ও নিস  শিলা দ্বারা গঠিত।

3. ছোটনাগপুর মালভূমি:

এটি প্রসারিত হয়েছে মধ্যপ্রদেশের পূর্বভাগ, ঝাড়খন্ড এবং পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিমবঙ্গ যেমন পুরুলিয়া পর্যন্ত। এটি গঠিত হয়েছে গান্ডোয়ানা এবং গ্রানাইট ও নিজ শিলা দ্বারা গঠিত।

4. মেঘালয় মালভূমি:

এটি অবস্থান করছে উপদ্বিতীয় মালভূমির উত্তর পূর্বাংশে এবং গারো — জয়ন্তিয়া এবং রাজমহল পথ দ্বারা বিচ্ছিন্ন হয়েছে।

5. মানওয়ার মালভূমি:

এটি আরাবল্লী পর্বতের উত্তর -পশ্চিমে অবস্থান করছে।

6. পূর্বঘাট:

উপদ্বীপীয় মালভূমির পূর্ব সীমা হল পূর্বঘাট পর্বতমালা।  এটি কতগুলি বিচ্ছিন্ন পর্বতের সমন্বয়ে গঠিত। এগুলি ক্ষয়প্রাপ্ত হয়েছে মহানদী, গোদাবরী, কৃষ্ণা ,কাবেরী প্রভৃতির দ্বারা। এটি পশ্চিমঘাট পর্বতের সঙ্গে মিলিত হয়েছে নীলগিরি পাহাড় এর কাছে। পূর্বঘাটের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ হল জিন্দাগড়া (1690 মি.)। এছাড়াও ওপর পর্বত শৃঙ্গ হল_ আমকোন্ডা (1680 মি.) ও মহেন্দ্রগিরি (1502 মি.)। এটি মলয়াদ্রি নামে পরিচিত।

7. পশ্চিমঘাট:

সহ্যদ্রি নামে পরিচিত। এটি পশ্চিম উপকূলের সঙ্গে সমান্তরালে বিস্তৃত এই পর্বতের মাঝে অবস্থিত কয়েকটি ফাঁক ( Gap) দেখা যায়। পশ্চিমঘাট পর্বত তাপ্তি নদীর দক্ষিণভাগ থেকে শুরু করে কন্যাকুমারী পর্যন্ত বিস্তৃত।( কন্যাকুমারী হল উপদ্বীপীয় ভারতের দক্ষিণতম স্থান)। আনাইমুদি (2695 মিটার) হলো পশ্চিমঘাট পর্বতের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ।

এটি ভারতের পরে দ্বিতীয় বৃহত্তম পর্বতশ্রেণী। এটি দুটি ভাগে বিভক্ত- সহ্যদ্রি এবং দক্ষিণে সহ্যদ্রি। উত্তরে সহ্যদ্রির সর্বোচ্চ শৃঙ্গ হল কলসুবাাই (1646 মিটার) এবং দক্ষিণ সহ্যদ্রির সর্বোচ্চ শৃঙ্গ হল  কুদ্দেরমুখ ( 1892 মিটার)। নীলগিরির সর্বোচ্চচ শৃঙ্গ দোদাবেতা (2637 মিটার)। যা আনমলাই পর্বতের আম্মানাইমুদির (2695 মিটার) । পরে দক্ষিণে ভারত সর্বোচ্চ শৃঙ্গ। দক্ষিনে নাগের কয়েল পাহাড় রয়েছে।

• সহ্যদ্রি পর্বতমালার 16° উত্তর অক্ষাংশ পর্যন্ত ব্যাসল্ট শিলা দ্বারা গঠিত।

• সহ্যদ্রির তিনটি গুরুত্বপূর্ণণ গিরিপথ হল_

1. থালঘাট:

মুম্বাই ও নাসিক এর মধ্যে সংযোগ স্থাপন করেছে।

2. পালঘাট:

পলক্কাদ এবং কোয়েম্বাটুর এর মধ্যে সংযোগ স্থাপন করেছে।

3. ভোরঘাট:

মুম্বাই এবং পুনের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করেছে।

পূর্বঘাট এবং পশ্চিমঘাট পর্বত নীলগিরি পর্বতের মধ্যে পরস্পরের সঙ্গে মিলিত হয়েছে এবং সত্যমঙ্গল অভয়ারণ্য অবস্থিত।

4. মালাবার উপকূল এবং কেরালার উপকূল:

ম্যাঙ্গালোর থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত বিস্তৃত। কালো জলকে স্থানীয় ভাষায় কয়াল বলা হয় ,যেগুলি হল অগভীর নোনা জলের হ্রদ বা লেগুনস্ ।হ্রদের মধ্যে বৃহত্তম হল_ ভেম্বানাদ  এবং এরপর অষ্টমুদী(কেরালা)। শিলং মালভূমি হল দক্ষিণাত্যের মালভূমি সম্প্রসারণ।

উপদ্বীপীয় মালভূমির পার্বত্য অঞ্চল

 

[table id=69 /]

 

 

উত্তর-পূর্ব মালভূমি:

প্রধান উপদ্বীপীয় মালভূমির সম্প্রসারণ, হিমালয় উৎপত্তির সময় ভারতীয় প্লেটের উত্তর-পূর্ব দিকে গতিবিধির কারণে তৈরি হয়েছে বলে মনে করা হয়। রাজমহল পাহাড় এবং মেঘালয় মালভূমির মধ্যে একটি বিশাল চ্যুতি তৈরি হয়েছিল। পরে এই নিম্নচাপটি পূরণ হয় অসংখ্য নদ- নদীর জমায়েতে।

বর্তমানে মেঘালয় মালভূমি এবং কার্বি অ্যাংলং মালভূমির প্রধান উপদ্বীপে ব্লক থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। মেঘালয় মালভূমি আরো তিনটি ভাগে বিভক্ত_ গারো পাহাড়, খাসি পাহাড়, জয়ন্তিয়া পাহাড়।

4. ভারতের মরুভূমি:

উত্তরে বিশাল সমভূমির পশ্চিমভাগে এটি অবস্থিত। ভারতে রাজস্থান রাজ্যের বেশিরভাগ অংশই মরু অঞ্চলের মধ্যে পড়ে। এই অঞ্চলে খুব অল্প বৃষ্টিপাত হয়। এখানকার জলবায়ু শুষ্ক এই অঞ্চলে স্বাভাবিকতা খুব অল্প পরিমান আছে। অঞ্চলটি আরাবল্লী পর্বতের পশ্চিম দিকে বিস্তৃত। এখানকার একমাত্র দীর্ঘ নদী হল লুনি। এটি ভারতের শুষ্কতম এবং উষ্ণতম অঞ্চল। ভারতীয় মরুভূমি পশ্চিমাঞ্চল, যেটি সবচেয়ে উষ্ণ এবং শুষ্ক অংশ, তাকে মরুস্থুলি বলা হয়। এটি ভারতের সবচেয়ে শুষ্ক এবং উষ্ণতম অঞ্চল। কালো হরিণ, এবং ভারতীয় বন্য গাধা, থর মরুভূমিতে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়, যদিও এই প্রজাতি গুলি ভারতের অন্যান্য অংশে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। লাদাখ উত্তরে ভারতের ঠান্ডা মরুভূমির অবস্থিত।

5. উপকূলের সমভূমি অঞ্চল:

উপকূলের সমভূমিকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়। যথা_

1.  গুজরাট উপকূলের সমভূমি:

সবরমতী, মাহী প্রভৃতি নদীর পালি সঞ্চয়ের ফলে এই সমভূমি গঠিত হয়েছে। গুজরাট রাজ্যের দীর্ঘ উপকূল রেখা আছে (1215 কিমি)

2. পশ্চিম উপকূল:

পশ্চিমঘাট ও আরব সাগরের মধ্যে মধ্যবর্তী অঞ্চলে এটি অবস্থিত। পশ্চিম উপকূল পূর্ব উপকূলের তুলনায় সংকীর্ণ। কচ্ছ উপকূল থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত 1840 কিমি দীর্ঘ এই উপকূল। পশ্চিম উপকূলে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়, এখানকার ক্ষুদ্র নদীগুলি গঠন করে। কচ্ছ উপসাগর, খাম্বাত উপসাগর, কঙ্কন উপকূল ও মালাবার উপকূল রেখা পশ্চিম উপকূলের উত্তর থেকে দক্ষিণে বিস্তৃত।

3.  পূর্ব উপকূল:

এটি পূর্বঘাট ও বঙ্গোপসাগরের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থান করছে। বৃহত্তম হদ চিল্কা পূর্ব উপকূলের মহানদীর দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে। এই উপকূলের মোট দৈর্ঘ্য 1800 কিমি. চা মহা নদী এই দীর্ঘ নদীর মোহনায় বদ্বীপ লক্ষ্য করা যায়। পূর্ব উপকূলের তামিলনাড়ুতে জলের গভীরতা বেশি থাকায় এখানে সর্বাধিক সংখ্যা ক বন্দর গড়ে উঠেছে। পূর্ব উপকূল উত্তর থেকে দক্ষিণে যথাক্রমে করমন্ডল উপকূল, পক প্রণালী এবং মান্নার উপসাগর অবস্থান করছে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 


Discover more from educenters.in

Subscribe to get the latest posts sent to your email.